তথ্য প্রতিদিন, ধোবাউড়া (বার্নার্ড সরকার):
মোঃ হেলাল উদ্দিন,পিতা-মৃত সৈয়দ হোসেন ফকির,সাং-ছনাটিয়া,থানা ধোবাউড়া, জেলা ময়মনসিংহ। বাদী মোঃ হেলাল উদ্দিন,পিতা-মৃত সৈয়দ হোসেন ফকির,সাং-ছনাটিয়া,ধোবাউড়া (সাবেক পূর্বধলা) জেলা ময়মনসিংহ। বাদী-মোঃ হেলাল উদ্দিন,পিতা-মৃত সৈয়দ হোসেন ফকির,ঘনার তারিখ ও সময়ঃ-খ্রিঃ১৯৭১ ৯-ই সেপ্টেম্বর রাত্র ৩,০০ ঘটিকা হইতে ১০-ই সেপ্টেম্বর বেলা ১২,০০ ঘটিকা পর্যন্ত। ঘটনার স্থানঃ-ধোবাউড়া থানার টাঙ্গাটি,পাথাইলগাঁও, গোয়াতলা বাজার,ইজারাপাড়া,ফুটকাই,তাড়াইকান্দি গ্রাম সমূহের ভিতর। ধারাঃ-আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ৩(২)।
বিবাদী
১। আব্দুল ওয়াহেদ ছুট্ট (৬৮) ২। আব্দুল মজিদ বড় ছুট্ট (৭০) উভয় পিতা-মৃত রুসমত আলী,সাং-ছনাটিয়া, থানা-ধোবাউড়া (সাবেক পূর্বধলা) জেলা-ময়মনসিংহ।
স্বাক্ষী
১। ওয়াহেদ হোসেন ফকির,পিতা-মৃত আবাল হোসেন ফকির,২। ইমান আলী ফকির,পিতা-মৃত আবাল হোসেন ফকির,৩। শাহেদ হোসেন ফকির, (মুক্তিযোদ্ধা),পিতা-মৃত আবাল হোসেন ফকির,সর্বসাং-ছনাটিয়া,৪। আঃ খালেক মন্ডল পিতা-মৃত আঃ গণি মন্ডল সাং-পাথাইলগাঁও,৫।আঃ বারী মন্ডল (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত ওসমান গণি,সাং-টাঙ্গাটি,৬। এম হোসেন (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত রুসমত আলী সাং-ইজারাপাড়া,৭। আঃ রশিদ খান পাঠান (মুক্তিযোদ্ধা) সাং-ইজারাপাড়া,৮। আহাম্মদ আলী (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত সাহেদ আলী সাং-জোকা,৯। রমজান আলী (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত কালু শেখ,সাং-গোয়াতলা,১০। বছির উদ্দিন (মুক্তিযোদ্ধা) সাং-টাঙ্গাটি,১১। দীনেশ চন্দ্র সরকার পিতা-মৃত বৈকন্ঠ চন্দ্র সরকার সাং-ছনাটিয়া,১২। আঃ হালিম ফকির (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত ইসমাইল ফকির সাং-আয়লাতলী,১৩।মকবু্ল হোসেন (মুক্তিযোদ্ধা) পিতা-মৃত আবুল হোসেন সাং-বিলনিয়া কান্দা,১৪।আব্দুল রাজ্জাক (মুক্তিযোদ্ধা),পিতা-মৃত হাফিজ উদ্দিন,১৫।আদম আলী (মুক্তিযোদ্ধা), পিতা-মৃত সোরত আলী সাং-টাঙ্গাটি,১৬। আঃ মজিদ, পিতা-মৃত হানিফ উদ্দিন মাষ্টার,সাং-মাটিখলা,সর্বসাং-ধোবাউড়া উপজেলা, জেলা-ময়মনসিংহ। ও আরও অনেকেই।
মন্তব্য,
বিণীত নিবেদন এই যে,উপরোক্ত বিবাদীগন একদলভুক্ত ১৯৭১সনের স্বাধীনতা যুদ্ধকালিন সময়ের দুর্ধর্য রাজাকার, মানুষ হত্যাকারী, অগ্নিসংযোগকারী, লুটপাটকারী ও নারী নির্যাতনকারী বটে। তাহারা পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসাবে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটন করিয়াছে।
(মোঃ হেলাল উদ্দিন একজন মুক্তিযোদ্ধা)
বিবাদীগন দ্বারা সংঘটিত অপরাধ সমূহ জ্ঞাত থাকিয়া অত্র মামলা দায়ের করিয়াছে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৯৭১সনের ৯-ই সেপ্টেম্বর রাত্র অনুমান ৩ ঘটিকার সময় বিবাদীগন জারিয়া হইতে লঞ্চযোগে আরও কতক অপরিচিত রাজাকার সহ বন্দুক, ষ্ট্যান্ডগান,রাইফেল,ইত্যাদি আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হইয়া এলাকার লোকজনকে খুন,লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করিয়া বেআইনিভাবে লাভবান হইবার অসৎউদ্দেশ্যে সর্ব প্রথম টাঙ্গাটি গ্রামে ঢুকিয়া তাহির উদ্দিন (নুন্দা), পিতা-মৃত আজিম উদ্দিনকে গুলি করিয়া হত্যা করে। তৎপর লাল মিয়া,পিতা-বিডু শেখকে বিবাদীগন গুলি করিয়া হত্যা করে। রাত্র অনুমান ৪,০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন পাথাইলগাঁও গ্রামের গণু সরকার,পিতা-মৃত কালী কিশোর সরকারকে গুলি করিয়া হত্যা লাশ কংশ নদীতে ভাসাইয়া দেয়।
ইহার কিছুক্ষণ পরেই (১-আব্দুল ওয়াহেদ ছুট্ট (৬৮) (২-আব্দুল মজিদ বড় ছুট্ট (৭০) উভয়পিতা-মৃত রুসমত আলী,সাং-ছনাটিয়া, থানা-ধোবাউড়া (সাবেক পূর্বধলা) জেলা-ময়মনসিংহ, টাঙ্গাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আঃ খালেক এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করিয়া বাড়ি পুড়িয়া ফেলে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধান করে এবং গোয়াতলা বাজারে ঢুকিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি সহ সমস্ত বাজারে আগুন দিয়া পোড়াইয়া লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে এবং মালামাল লুটপাট করিয়া নিয়া যায় এবং সমস্ত বিবাদীরা নিজ কবজে নিয়া গিয়া লাভবান হয়।
পরবর্তীতে বিবাদীরা ইজারাপাড়া ও ফুটকাই গ্রামের গঙ্গাচরণ বর্মনের বাউড়িতে অগ্নিসংযোগ করিয়া মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে ও তাহাকে গুলি করিয়া হত্যা করে।১০-ই সেপ্টেম্বর ১৯৭১ খ্রিঃ বেলা অনুমান ১১,০০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা তাহাদের সহযোগীদেরকে লইয়া ছনাটিয়া গ্রামের অশ্বিনী কুমার সরকার, হরিচরণ সরকার, দীশেন চন্দ্র সরকার, কালীচরণ সরকার,মোহন চন্দ্র ও বীরেন্দ্র সরকারের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করিয়া লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে ও লুটপাট করিয়া মালামাল নিয়া যায়।
তাহাছাড়া (মোঃ হেলাল উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার আক্রোশে)
বাড়ি ও ছনাটিা মামুদ আলী হাজির বাড়ি পেট্রোল দিয়া অগ্নিসংযোগ করিয়া পোড়াইয়া ফেলে। ইহার পর তাড়াইকান্দি গ্রামের কয়েক বাড়িতে ঢুকে নারী নির্যাতন ও খুন করে।
বিবাদীরা-১-আব্দুল ওয়াহেদ ছুট্ট (৬৮) ২-আব্দুল মজিদ বড় ছুট্ট (৭০) উভয়পিতা-মৃত রুসমত আলী সাং-ছমাটিয়া।
(মোঃ হেলাল উদ্দিন) মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য চলিয়া গেলে মোঃ হেলালের পরিবারে পিতা-মৃত সৈয়দ আলী ফকির ও ভাইদেরকে নির্যাতন করিয়াছে।
স্বাক্ষীগন সমস্ত ঘটনা জানে ও প্রমাণ করিবে। সকল তথ্য সংগ্রহ করিয়া মামলা দায়ের কিছু বিলম্ব হইল। বিবাদীগন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে। সেমতে হুজুর আদালত সমীপে বিণীত প্রার্থনা এই যে,ন্যায় বিচারের স্বার্থে ঘটনার তদন্তক্রমে স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণে আসামীদের বিরুদ্ধে সুবিচার মর্জি হন। তাং-১৯/৫/১৫ইং-মোঃ হেলাল উদ্দিন,পিতা-মৃত সৈয়দ আলী ফকির,সাং-ছনাটিয়া, থানা ধোবাউড়া,জেলা-ময়মনসিংহ।